অনলাইনে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করবেন যে ভাবে || অনলাইনে টাকা আয় করার উপায়।

 মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা আয় করবেন

মোবাইল দিয়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান। সে ক্ষেত্রে অনুসরন করুন এই মোবাইল আর্নিং সাইট এই পোস্টে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় ও কিভাবে মোবাইল টাকা ইনকাম করবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ নিজ দায়িত্বে উপায়গুলো করতে পারেন

যে সকল সাইটে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে যদি আপনার হাতে একটি ফোন আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকে তাহলে এখনি নেমে পড়তে পারেন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায় সমূহ হলোঃ

১ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে ।

২ফ্রিল্যান্সিং করে।

৩ব্লগিং করে।

৪ফটোগ্রাফ ভিডিও বিক্রি করে।

৫অনলাইন টিউশন করে।

৬ফেইসবুক ই-কমার্স দ্বারা।

৭রিসেলিং ব্যবসা করে।

ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

আপনার হাতের স্মার্টফোনটি কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী ভিডিও রেকর্ড থেকে শুরু করে ভিডিওটি আপলোড করলেন তো সম্পূর্ণ প্রকিয়া মোবাইল ফোনে করা যায় মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে আয় করা সম্ভব।এছাড়াও যথেষ্ট বেশি সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার পেলে স্পন্সর ভিডিও করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।


কি নিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানাবেন সেটা নিয়ে ভাবছেন বর্তমানে ইউটিউবে সকল ধরনের ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা ও ভিউয়ার রয়েছে।নির্দিষ্ট টপিক সিলেক্ট করে সেই বিষয়ক ভিডিও মোবাইল তৈরি করে ইউটিউব ধারা মোবাইলে ইনকাম করতে পারে। 


ইউটিউব চ্যানেল গুগল এডসেন্স যুক্ত হওয়ার এই প্রক্রিয়াটি ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত একটি ইউটিউব চ্যানেল।
  1.  প্রয়োজন হয় বিগত 365 দিনে 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম
  2.  1000 সাবস্ক্রাইব।
উল্লেখিত দুইটি শর্ত পুরণ হয়েগেলে ইউটিউব থেকে আয় শুরু হয় একটু আগে যেমন বললাম আপনার চ্যানেল কিছুটা বড় হতে শুরু করলে ইউটিউব মনিটাইজেশন এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্পনসর্শিপ থেকেও আয় করা সম্ভব ।

 ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম যেভাবে করবেন

দিন দিন অনলাইনে লেখার চাহিদা বাড়ছে সে কথা মাথায় রেখে আপনিও হাতের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে খুলে ফেলতে পারবেন একটি ব্লগ আপনার ব্লগে এই গুগল এডসেন্স গুগল নিতে পারলে শুরু হয়ে যাবে আয়।


ব্লগিং শুরু করতে প্রথমে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগার কিংবা অন্যকোন ব্লগিং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে নিজের ব্লগিং সাইট সেটাপ করুন। এরপর ধীরে ধীরে কনটেন্ট পোস্ট করুন ও ব্লগে যথেষ্ট পরিমাণে মানসম্মত কন্টেন্ট তাকলে গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করুন গুগল এডসেন্স একরূপ হয়ে গেলে আপনার ব্লগের দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন এছাড়াও পোস্টিং এর মাধ্যমে আয়ের সুযোগ রয়েছে।


উল্লেখ্য যে মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথমে ব্লগের ডোমেইন ও হোস্টিং কিন্তু কিছু অর্থ খরচ হবে। আপনি যদি এই খরচ বহনে অপরাগ হন সে ক্ষেত্রে অন্য কেউ অর্থের বিনিময়ে লিখতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করবেন যেভাবে

ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু নির্দিষ্ট কোন কাজ নাই কোন প্রতিষ্ঠান অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে কাজ করে অর্থ উপার্জন কেই বলা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকে।


 আপনিও যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চান সেক্ষেত্রে আপনার কোন একটি স্কিল অর্থাৎ দক্ষতা থাকা প্রয়োজন পড়বে ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে আপনি এক বা একাধিক কাজ করতে পারেন মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন জনপ্রিয় কাজ গুলো হলোঃ
১।কনটেন্ট রাইটিং।

২।কঁপিরাইট ব্লগ।

৩।ব্লগ কমেন্টিং।

৪।ফোরাম পোস্টিং।

৫।ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট।

৬।প্রডাক্ট ডেস্ক্রিপশন রাইটিং।

৭।ট্রান্সক্রিপশন ইত্যাদি।

ফটো ও ভিডিও বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করবেন যে ভাবে

আপনার হাতে থাকা ফোনটি যদি ভালো ছবি ক্যাপচার করতে সক্ষম হয় এবং আপনার ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারনা থাকে। সে ক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি বা ভিডিও বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

হতে পারে ফটোগ্রাফি আপনার শখ এই শখকে   কাজে লাগিয়ে আপনিও মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন। ছবি ও ভিডিও বিক্রির জন্য অসংখ্য ওয়েব সাইট রয়েছে এমন মোবাইল ফটোগ্রাফির কিছু জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা সার্ভিস হলো।
  1. শাটারস্টক
  2. ফোপ
  3. আইএম
  4. স্নাপওয়্যার
  5. ড্রিমস টাইম

অনলাইনে টিউশনি করে মোবাইল দিয়ে ইনকাম

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা কারণে অনলাইনে শেখার গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। আপনি যদি কোন বিষয়ে পারদর্শী হন সে ক্ষেত্রে উক্ত বিষয়ে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে অন্যদের পড়ানোর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। অনলাইনে টিউশন এর পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্স বানাতে পারেন যা বিক্রি করে আয় করা সম্ভব এছাড়াও আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয় নিয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারেন ।


আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ভালো বুঝেন ক্ষেত্রে আপনার কাছে কাদের পথ খোলা রয়েছে তাও মোবাইল দিয়ে প্রথমত আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে আয় করতে পারেন এরপর অন্যদের ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইনে আয় করতে পারেন।

ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম যেভাবে করবেন আপনি

পূর্বের ব্যবসা শুরু করার একটি লম্ব প্রসেস ছিল।  তবে ফেইসবুক ব্যবহার করেই বর্তমানের যেকোনো ধরনের অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স শুরু করা সম্ভব ঘরে বসেই। দেশে ফেসবুকের অসংখ্য ইউজার রয়েছে ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর হয়ে উঠতে পারে আপনার কাস্টমার ফেসবুক ব্যবহার করে ই-কমার্স বিজনেস করতে আপনার ইনভেস্ট করতে হবে কিছু প্রোডাক্ট কেনার জন্য।


এরপর উক্ত প্রোডাক্ট আপনার ফেসবুক ই-কমার্স পেজের এড করে দিয়ে যেসব জায়গা থেকে ছেড়ে আসা সম্ভব এসব জায়গায় শেয়ার করুন ব্যবহারকারীগণ ইচ্ছুক হলে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হতে বেশি সময় লাগবে না। বর্তমানে অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি বদৌলতে ফেসবুক অনলাইন শপ দেশগুলো থেকে পণ্য ক্রয়ের হার অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে কথা মাথায় রেখে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে বিজনেস শুরু করে টাকা আয় করতে পারেন আপনিও।

রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করবেন যেভাবে আপনি

রিসেলিং ব্যবসাকে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ধরুন আপনি 50 টাকা ধরে এক ডজন কলম কিনলো এবং  65 টাকা দরে বিক্রি করলে বাড়তি দামে বিক্রি করবেন সেটা আপনার লাভটা হচ্ছে মূলত রেসলিং ব্যবসার মডেল।

 আপনি অনলাইনে শপ খুলে প্রডাক্ট লিস্ট করতে পারেন এরপর যখনই অর্ডার পাবেন তখনই কম দামে পণ্য কিনে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেবে, রিসেলিং ব্যবসার সুবিধা হল আপনাকে প্রোডাক্ট স্টোর করে রাখার পেছনে কোন টাকা খরচ করতে হবে না শুধুমাত্র ফোন ব্যাবহার করেই আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন ঘরে বসেই।

প্রিয় পাঠক মোবাইল দিয়ে আর কি কি ধরনের অনলাইন ব্যবসা করা যায় তা আমরা পরের পোস্টে জানিয়ে দেবো। (খোদা হাফেজ)
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url