কুয়েতের বর্তমান অবস্থা
কুয়েতের বর্তমান অবস্থা কুয়েত সরকার দেশ থেকে অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতে প্রবাসী কোটার জন্য একটি বিল পেশ করেছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বিলে শুধু বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য ৩ শতাংশ কোটা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আইনটি পাস হলে দেশে বসবাসরত আড়াই লাখের বেশি অভিবাসী ফিরতে বাধ্য হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, কুয়েতের মোট জনসংখ্যা 4.3 মিলিয়ন, যাদের মধ্যে 3 মিলিয়ন অভিবাসী। শতাংশ হিসাবে যা প্রায় 80%।
কুয়েতের জনসংখ্যার 80% অভিবাসী হওয়ায়, দেশটির সরকার সম্প্রতি ধীরে ধীরে অভিবাসীদের সংখ্যা 30% এ কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই জনসংখ্যার ভারসাম্য বজায় রাখা যেতে পারে।
এ লক্ষ্যে সম্প্রতি কুয়েতের প্রতিনিধি পরিষদের একটি কমিটি কোটা আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে।
বিভিন্ন কোটায় বিভিন্ন দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর প্রস্তাব রয়েছে।
কোটা অনুযায়ী, কুয়েত সরকার যদি মাত্র ৩% বাঙালি অভিবাসীকে জায়গা দেয়, তাহলে আড়াই হাজারের বেশি অভিবাসীকে বাংলাদেশে ফিরতে হবে।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম কুয়েতের গণমাধ্যমে এমন খবর ছড়িয়ে পড়তে দেখেন।
তাই প্রস্তাবিত বিলটি আইনে পরিণত হবে কিনা তা নিয়ে সেখানে বসবাসরত প্রবাসীরা বেশ চিন্তিত।
“কুয়েতে বেতন, কাজের পরিবেশ খুব ভালো। আমার টাকায় পুরো পরিবার চলে। এখন যদি চলে যেতে হয়। আমার পরিবার কেমন আছে এমন পরিবেশ আমরা পাব না। বাংলাদেশে লাখ লাখ অভিবাসীর কী হবে প্রবাসী অ্যাক্টিভিস্ট শাহ করিম
বলেন।এক হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে কুয়েতে প্রায় তিনজন বাংলাদেশী প্রবাসী রয়েছেন। তাদের মধ্যে গুটিকয়েক ব্যতীত সবাই বিভিন্ন অদক্ষ বা কম দক্ষতার
পেশায় কাজ করে। বিশেষ করে, পরিচ্ছন্নতার মতো পেশায় বাংলাদেশী শ্রমিকদের বেশি দেখা যায়। , নির্মাণ শ্রমিক ড্রাইভিং হোটেল শ্রমিক ইত্যাদি। এটা
হবে না কুয়েত সরকার এই অভিবাসীদের ছাড়া বাঁচতে পারবে না। আবদুল কালাম বলেন, কুয়েত সরকারের বিল অবাস্তব। নার্স, প্রকৌশলী এবং অন্যান্য দক্ষ চাকরিতে। তবে কুয়েতিরা পরিষ্কার, নির্মাণ, গাড়ি চালানো বা ওয়ার্কশপের কাজ করবে না। কিভাবে
তার মতে দেশে নির্বাচনের তারিখ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে চরমপন্থী বিরোধীরা অভিবাসীদের সংখ্যা কমানোর জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে।
জনাব আব্দুল কালাম বলেন, যদিও কুয়েত সরকার অভিবাসীদের সংখ্যা কমাতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে একটি সংসদীয় কমিটি এখনও দেশে কত অভিবাসী চাওয়া হয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেনি অভিবাসীর
সংখ্যা এই প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে সাধারণভাবে, তিনি আশা করেন যে উন্নতির অবকাশ রয়েছে।
চেয়ারম্যান রামরু তাসনিম সিদ্দিকী কুয়েতি কিনা তা নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছেন। সরকার এত ব্যাপক হারে অদক্ষ বা পরিবার-ভিত্তিক কর্মী স্বল্প-দক্ষ অভিবাসীদের বাংলাদেশে ফেরত দিতে সক্ষম হবে।
যদি তারা সত্যিই বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে ফেরত পাঠায়, সরকারকে তাদের পুনর্বাসন ও নিয়োগের জন্য এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
আমি সন্দেহ করি বাংলাদেশিরা যে ধরনের শ্রমিকদের বাংলাদেশে করছে তারা তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে বলেন মিসেস সেদ্দিকী। কুয়েত। দেশটির সরকার এখনও অনেক মানুষকে ফিরিয়ে আনবে। তাই বাংলাদেশ সরকারকে প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে দিয়েছেন।
দক্ষ জনশক্তির চাহিদা এক না এক দেশে বিদ্যমান। দক্ষ কর্মীরা অত্যন্ত মূল্যবান। তাই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে হবে। মিস সেদ্দিকী বলেন
জনশক্তি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের কার্যালয় অনুসারে, কুয়েত ১৯৭
সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়ে আসছে। তখন থেকেই একটি বড় অংশকুয়েত থেকে বাংলাদেশি রেমিট্যান্স আয় এসেছে
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে কুয়েত থেকে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ৫০ কোটি ডলার।এখন
যদি এই দেশটি এত বেশি সংখ্যক কর্মী পাঠায়, তাহলে অনেক বড় কিছু হবে। রেমিট্যান্স আয়ের ওপর
চাপ।প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী মনিরুশ সালেহীন বলেছেন, কুয়েত বা অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ নীতির কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকরা ফিরতে বাধ্য হলে তাদের দেশেই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে, অন্যথায় তাদের পাঠানো হবে। অন্য দেশে।
বিনিময়ে আসাদকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রশিক্ষিত করা হবে যাতে তিনি দেশের ভেতরে বা দেশের বাইরে ভালো চাকরি পেতে পারেন। এর জন্য নতুন চাকরির বাজার খোঁজা হচ্ছে। তাদের ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বৈশ্বিক তেলের দাম কমে যাওয়ায় কুয়েত সরকার অভিবাসীদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে।ফলে
তবে কুয়েতে রাষ্ট্রদূত তথ্য সরবরাহ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।এর
সম্প্রতি নতুন ভিসায় কুয়েতে আসা অন্তত 1,800 বাংলাদেশি শ্রমিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন।যারা
কাজ করতে এসেছেন তাদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে।
কুয়েতেযারা এখন কাজ করছেন তাদের কাজ নবায়ন করা হয়নি।
যারা কুয়েত থেকে এসেছেন তারা কবে ছুটিতে ফিরবেন?তিনি কখনো তার চাকরি ফিরে পাবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়
যেতে চান তাদের জন্য
রয়েছে।যারা কুয়েতেপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কুয়েতে যেতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের জন্য ভিজিট ভিসা পুনঃপ্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অভ্যন্তরীণ। প্রায় দেড় বছর ধরে ভিজিট ভিসা স্থগিত করা হয়েছে এবং পুনরায় চালু করা হচ্ছে
প্রবাসীরা কুয়েত সরকারের সময়মত পদক্ষেপ নেওয়ার