এখন পর্যন্ত বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই প্রধান

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো গেলে দেশে ব্যবসা করার খরচ অন্তত ৫ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে। একই সঙ্গে এদেশে বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আগ্রহও বাড়বে।



তাছাড়া বঙ্গবন্ধুর শিল্পনগরীসহ দেশের অন্যান্য অর্থনৈতিক এলাকায় পুরোদমে উৎপাদন শুরু হলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এখন পর্যন্ত বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই প্রধান। জসিম এদ্দিন।


বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে এফবিসিসিআই বন্দর ও নৌপরিবহন স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।


প্রধান অতিথি হিসেবে জসিমউদ্দিন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়েতে বর্তমানে মালবাহী গাড়ির গতি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। এই গতি দ্বিগুণ হলে রপ্তানি খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা ৭ শতাংশ বাড়বে।


চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত রাসায়নিক দ্রব্য আনলোড করার আগে আলাদাভাবে পরীক্ষা করতে হবে। তবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপযুক্ত ল্যাবরেটরি নেই। পরীক্ষাটি সম্পূর্ণ করতে ব্যবসায়ীদের 10 থেকে 12 দিন সময় লাগে। এসব বন্দর সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।


বন্দরকেন্দ্রিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য স্থায়ী কমিটির প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআই চেয়ারম্যান। জসিম এদ্দিন।


এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. আমিন হিলালী বলেন, ভবিষ্যতে আরও বন্দর চালু করা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারলে এসব বন্দরের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা যাবে।


এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মোঃ হাবিব উল্লাহ ডন দাবি করেন, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানিতে মংলা বন্দরের চেয়ে দ্বিগুণ খরচ হবে। একই দেশের বিভিন্ন বন্দরে ভিন্ন ভিন্ন দাম অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।


স্থায়ী কমিটির দায়িত্বশীল পরিচালক আ. মেহবুব চৌধুরী বলেন, গত কয়েক বছরে চট্টগ্রাম বন্দরের মুনাফা কয়েকগুণ বেড়েছে। তিনি দাবি করেন, এটি একটি অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হলেও লাভের পরিমাণ বাড়াতে আবারও শুল্ক বাড়ানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। 


ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে শুল্ক না বাড়ানোর দাবি জানান কমিটির প্রধান। মুহাম্মদ পারভিজ সাজ্জাদ আখতার। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বেশিরভাগ শুল্ক দিতে হবে ডলারে। তাই শুল্ক বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রার খরচও বাড়বে। তাছাড়া বিদেশি জাহাজ মালিকরাও এই সুযোগে ভাড়া বাড়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমদানি পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা থাকবে।


মুক্ত আলোচনায় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম গতিশীল করতে বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url